What is Diploma and Polytechnic Education

knowledge to change the world

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কেন পড়বেন

আজকের দুনিয়া দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে, আর এই গতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজনীয়তা অনেক বেড়েছে। এসআরএ ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে আমরা এই চাহিদা পূরণে বিশ্বাসী। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করেছি, যা আপনাকে শিল্প ও কারখানায় কাজ করার জন্য প্রস্তুত করবে। আমাদের অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী তত্ত্বীয় জ্ঞানের পাশাপাশি নান্দনিক ও পরিশীলিত ল্যাবরেটরিতে আপনাকে বাস্তবিক প্রকৌশল বিদ্যায় পারদর্শী করে তুলবেন।


ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশুনার সুবিধা কি কি?

  • অল্প সময়ে দক্ষতা অর্জন: ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারিং এর তুলনায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে কম সময় লাগে। ৪ বছরেই আপনি প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করে কর্মজগতের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবেন।
  • কম খরচ: ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারিং এর চেয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশুনার খরচ অনেক কম। এতে আপনার আর্থিক চাপ কমে যাবে।
  • বেশি চাকরির সুযোগ: বর্তমান শিল্প ক্ষেত্রে দক্ষ প্রকৌশলীদের চাহিদা অনেক বেশি। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে আপনি সরকারি ও বেসরকারি খাতে, বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ পাবেন।
  • উচ্চ বেতন: দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা ভালো বেতনের চাকরি পেতে পারেন।
  • মূল্যবান সার্টিফিকেট: কোর্স শেষে আপনি একটি স্বীকৃত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সার্টিফিকেট পাবেন, যা আপনার কর্মজীবনে অনেক সুযোগ এনে দেবে।

 

কারিগরি শিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষা এর পার্থক্য

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (কারিগরি শিক্ষা )এইচ এস সি (সাধারণ শিক্ষা )
৪ বছরের কোর্স২ বছরের কোর্স।
৪ বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা পাবে।দুই বছরের সনদ পাওয়া যাবে।
2nd Class Gazetted officer পদে চাকুরীতে আবেদন করতে পারবে।তেমন কোন চাকুরীর সুযোগ সুবিধা নেই।
১০ তম গ্রেডে চাকুরীর জন্য আবেদন করতে পারবে। বেতন স্কেল ১৬,০০০/- টাকা থেকে ৩৮,৫০০ টাকা পর্যন্ত।১৫ তম গ্রেডে চাকুরীর জন্য আবেদন করতে পারবে।
৩ বছরের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং করার সুযোগ আছেবিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং করতে ৪ বছর সময় লাগবে।
৩২,০০০/-টাকা পর্যন্ত সরকারি উপবৃত্তি দেওয়া হয়।সরকার থেকে কোন উপবৃত্তি দেওয়া হয় না।
ইঞ্জিনিয়ারিং পদবি লিখতে পারবে।কোন পদবী লিখা যায় না।
বিদেশে কর্ম সংস্থানের বিপুল সুযোগ সুবিধা আছে ।বিদেশে কর্ম সংস্থানের সুযোগ সুবিধা নেই ।
একজন “Skilled Worker” হওয়া যায়।একজন Skilled Worker হওয়া যায় না ।

সিভিল টেকনোলজি

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তিবিদ্যার এমন একটি শাখা যার চাহিদা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক এবং তা কখনোই কমবে না ,কারণ সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাঠামো যেমন রাস্তা, ব্রিজ, বিল্ডিং, রেললাইন , ড্যাম, এয়ারপোর্ট ,বন্দরসহ বিভিন্ন কাঠামোর পরিকল্পনা, নকশা, ডিজাইন, নির্মাণ, সুপারভিশনসহ সকল প্রকার কাজ করে থাকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারগণ।

এছাড়াও পয়ঃনিষ্কাশন ও পানি সরবরাহ এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা এমনকি গ্যাস ক্ষেত্র,নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট, ইত্যাদি ক্ষেত্রে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পর, আমাদের ছাত্রদের সফলতা

1. আরিফ শাহরিয়ার-২০১৩-১৪ ব্যাচ -উপ সহকারী প্রকৌশলী- এল.জি.ই.ডি

2. আশিকুর রহমান-ব্যাচ ১৩-১৪- উপ সহকারী প্রকৌশলী- ডেসকো

3. অর্ণব শাহরিয়ার (সেশন ১৩-১৪)- LGED

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কর্মক্ষেত্র সমূহ:

সরকারি প্রতিষ্ঠান/অধিদপ্তর: PWD, RHD, LGED, BR, BWDB, DSCC, DNCC, HED, EED, BPDB, WASA, BADC, HBFC, BITAC, BCIC, TSC, রাজউক, সেচ অধিদপ্তর, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় অধিদপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, সার্ভে অব বাংলাদেশ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ , সরকারি পলিটেকনিক সমূহ ইত্যাদি। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান: PGCB,DESCO,NESCO,DPDC, EGCB, পৌরসভা ,সিটি কর্পোরেশন, বিভিন্ন নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, দেশের সকল গ্যাস ক্ষেত্র সমূহ ও সার কারখানা সমূহ। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান : স্টীল টেক, সিমেন্ট কারখানা, বিভিন্ন স্টীল কোম্পানি, বিভিন্ন দেশি-বিদেশি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এবং দেশি ও বিদেশী কনস্ট্রাকশন ফার্ম সমূহ।

ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি

বিদ্যুৎ মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাপনের সাথে সম্পৃক্ত । কোন দেশ কত উন্নত তা নির্ভর করে , সেই দেশের মানুষ কত বেশী বিদ্যুৎব্যবহার করে । বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে সঞ্চালন , বিতরণ ও ব্যবহার ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা অপরিসিম , তা ছাড়া সকল প্রকার ইপিজেট ​​, ছোট বড় কলকারখানা ও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি , ক্যাবলস ও ট্রান্সফরমার ইত্যাদি আরো অনেক ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান এর সুযোগ আছে । বিদ্যুৎ ছাড়া দেশের অগ্রগতি তথা বিশ্ব সভ্যতা কল্পনা করা যায় না । বর্তমানে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশে নির্মানাধীন আছে । যেখানে বহু সংখ্যক ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন হবে । সেনাবাহিনী , নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী তেও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারগণ কর্মরত আছেন । বিদ্যুতের উন্নয়নে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে ।

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পর, আমাদের ছাত্রদের সফলতা

1. ইমরান আলী -ব্যাচ ১১-১২ – ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার- রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র

2. সঞ্জয় রায় ব্যাচ ১৭-১৮-উপ সহকারী প্রকৌশলী- JRC Powertech

3. মতিউর রহমান- ব্যাচ ১৪-১৫- নির্বাহী প্রকৌশলী- স্যামসাং (SAMSUNG )

চাকরির ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে :
· পিডিবি
· আরইবি
· ডিপিডিসি
· নেসকো
· ডেসকো
· রুপপুর পাওয়ার প্লান্ট
· ইপিজেড
· পিজিসিবি
· গার্মেন্টস
· প্রকৌশল অধিদপ্তর
· ট্রান্সফরমার ও ক্যাবলস কোম্পানি
· এছাড়া দেশে বিদেশে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ আছে ।

 

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং

বাংলাদেশে চাকরির বাজারে বর্তমানে যে কয়টি বিষয়ের গ্রাজুয়েটদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং । টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের শিক্ষাথীদের জন্য বাংলাদেশে রয়েছে চাকরির বড় বাজার ।

সরকারের বিভিন্ন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে স্থাপিত দেশী বিদেশী টেক্সটাইল মিল , বিভিন্ন বায়িং হাউস, বুটিক হাউস, ফ্যাশন হাউস, গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্ন পজিশনে কাজের সুযোগ রয়েছে। আর যারা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করেছেন তারা এই দেশেরই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা।

ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পর, আমাদের ছাত্রদের সফলতা

১. আদুরি লাকড়া, ২০১৮-১৯ ব্যাচ, কোয়ালিটি কন্ট্রোলার, এফ এ ফ্যাশন, উত্তরা, ঢাকা।

২. রাকিবুল ইসলাম, ২০১৮-১৯ ব্যাচ, কোয়ালিটি কন্ট্রোলার, শিশির নিটিং এন্ড ডাইং লিমিটেড, টঙ্গী, ঢাকা।

৩. অনুপম পারভেজ রুদ্র, ২০১৮-১৯ ব্যাচ, ট্রেইনার ( ডাইং এন্ড ফিনিশিং ), জি এ বি লিমিটেড, সাভার, ঢাকা।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কর্মক্ষেত্র সমূহ:

১. বিভিন্ন সরকারি টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি ২. বেসরকারি পর্যায়ে স্হাপিত দেশি বিদেশি টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি ৩. বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ৪. তুলা উন্নয়ন বোর্ড ৫. রেশম উন্নয়ন বোর্ড ৬. বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট ৭. বিভিন্ন বায়িং হাউস ৮. ফ্যাশন হাউস ৯. লেদার ও ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি ১০. বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান